হিন্দি ছবিতে বাংলাদেশের সিমলা

0

‘বাংলাদেশের একজন অভিনেত্রী হিন্দি ছবিতে মূল চরিত্রে অভিনয় করছে—এটা একটা বড় অর্জন। আমার ভাগ্য খুবই ভালো। বাংলাদেশে প্রথম ছবিতেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি, আবার বলিউডের মতো একটা জায়গা, যেখানে অনেক প্রতিযোগিতা, সেখানে সুযোগ পেয়েছি। আমাদের দেশে অনেক তরুণ মেধাবী অভিনেতা-অভিনেত্রী আছেন। ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই তাঁরা এখানে কাজ করবেন। কিন্তু আমার আনন্দ হচ্ছে, কারণ আমার নামটা সেই তালিকায় প্রথম দিকে থাকবে।’ ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বললেন সিমলা, বাংলাদেশের অভিনেত্রী। এবার তিনি হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেছেন। ছবির নাম ‘সফর’। পরিচালক অর্পণ রায় চৌধুরী। ১৯ মে থেকে ভারতের মুম্বাইয়ের লোকেশনে ছবিটির শুটিং হয়েছে। ছবিতে সিমলার বিপরীতে অভিনয় করেছেন বলিউডের অভিনয়শিল্পী ও মডেল যশ অরোরা। সম্প্রতি ছবিটির শুটিং শেষ হয়েছে।
পরিচালক অর্পণ রায় চৌধুরী আর প্রযোজক কিংশুক গুণ ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ‘সফর’ ছবিতে সিমলার অভিনয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এ ব্যাপারে সিমলা বলেন, ‘আমার কাজ তাঁদের পছন্দ হয়েছে, এটা জেনে খুব ভালো লাগছে। আসলে পরিচালকই সব। তিনি কীভাবে একজন আর্টিস্টকে তুলে ধরবেন, পুরো ব্যাপারটা তাঁর ওপর নির্ভর করে।’ আর প্রযোজকের ব্যাপারে বললেন, ‘আমাকে হিন্দি ছবিতে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন কিংশুক গুণ। শুটিং শুরু হওয়ার আগে নানাভাবে তিনি আমাকে সহযোগিতা করেছেন। আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।’ সিমলার মতে, ভারতের বাংলার ছবির জগতে সেরা অভিনেতা-অভিনেত্রী উত্তমকুমার ও সুচিত্রা সেন। আর বলিউডে শাহরুখ খান, আমির খান ও সালমান খান। পাশাপাশি তাঁর ভালো লাগে রণবীর সিং, রণবীর কাপুর, বরুণ ধাওয়ানকে। হৃতিক রোশনের ‘ব্যাং ব্যাং’ ছবিটি তাঁর খুব পছন্দ।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে সিমলার শুরুটা হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। প্রথম ছবি ‘ম্যাডাম ফুলি’। ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এরপর তিনি অভিনয় করেছেন ১৫টি চলচ্চিত্রে। পাশাপাশি অভিনয় করেছেন টিভি নাটকেও। মাঝে অনেক দিন পর্দায় দেখা যায়নি তাঁকে। এ ব্যাপারে বললেন, ‘কাজ করার ইচ্ছে তো আছে। কিন্তু তেমন সুযোগ হয়নি।’
সিমলা এবার ফিরে আসছেন বলিউডের ছবি দিয়ে। বলিউডের ছবিতে অভিনয় করতে এসে ভাষা জটিলতার মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। বললেন, ‘আসলে ভাষাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি যখন বাংলায় কথা বলছি, তখন আমার অভিব্যক্তি এক রকম হবে, যখন অন্য ভাষায় কথা বলব, তখন আমার শারীরিক ভাষা আলাদা হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে অভিনয়টা একটু হলেও আলাদা হবে।’ ভাষা শেখার ব্যাপারে তিনি বললেন, ‘তেমন অসুবিধা হচ্ছে না। ইউনিটের সবাই আমাকে সহযোগিতা করছেন। তা ছাড়া শুটিংয়ের আগে এখানে এসে প্রায় তিন মাস হিন্দি ভাষার প্রশিক্ষণ নিয়েছি।’ আর হিন্দি ছবিতে কাজের সুযোগ পেয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের বাইরে চলচ্চিত্রের অনেক বড় বাজারের ছবিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রশিল্পীদের জন্য এটি সম্মানের।’
অর্পণ রায় চৌধুরী ভারতের একজন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা। ‘সফর’ তাঁর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি। ভারতের কলকাতার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কিংস এন্টারপ্রাইজের ব্যানারে তৈরি হচ্ছে ছবিটি।

আরও পড়ুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।