বিশ্বের অন্য দেশগুলোর আগে বাংলাদেশের দর্শক দেখতে পাবে সাড়া জাগানো ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’ সিরিজের নতুন ছবি ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড: ফলেন কিংডম’। কারণ, আন্তর্জাতিকভাবে ছবিটি মুক্তি পাবে ২২ জুন। তবে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলাদেশে ছবিটি মুক্তি পাবে ১৫ জুন। ঈদ উপলক্ষে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’ সিরিজের প্রথম ছবির কাহিনি যেখানে শেষ হয়েছিল, ঠিক সেখান থেকেই শুরু হয়েছে ‘ফলেন কিংডম’ ছবির কাহিনি। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র ওয়েন গ্র্যান্ডি এবং ক্লেয়ার ডিয়ারিং ফিরে যায় জুরাসিক পার্ক হিসেবে পরিচিত আইলা নুবলা দ্বীপে। আগের ছবিতে পার্কটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেলেও এখনো সেখানে রয়ে গেছে প্রাগৈতিহাসিক যুগের কিছু প্রাণী। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত তাদের পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করতে পারেনি। তাই তাদের বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেখানে যান ওয়েন ও ক্লেয়ার। নানা প্রতিকূলতা আর ঘাত-প্রতিঘাতের মুখোমুখি হন তারা। শ্বাসরুদ্ধকর সেই অভিযানের কাহিনি নিয়েই নির্মিত হয়েছে ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড: ফলেন কিংডম’।
এবারের ছবিটির পরিচালনায় পরিবর্তন এলেও বরাবরের মতোই ছবিটির কার্যনির্বাহী প্রযোজক হিসেবে আছেন স্টিভেন স্পিলবার্গ। এবার পরিচালনা করেছেন জে এ বায়োনা। আগের ছবির মতো এবারও কেন্দ্রীয় দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন ব্রাইস ডালাস হাওয়ার্ড এবং ক্রিস প্যাট। ছবির অন্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন জেফ গোল্ডবাম, বিডি ওং, টবি জোনস, টেড লিভাইনসহ অনেকে।
আশা করা হচ্ছে, সাফল্যের দিক থেকে আগের ছবিকেও ছাড়িয়ে যাবে নতুনটি। প্রযোজক, নির্মাতা, কলাকুশলীরা দারুণ আশাবাদী ছবিটি নিয়ে। ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন সমালোচকেরাও।
স্টিভেন স্পিলবার্গ পরিচালিত কল্পবিজ্ঞান নিয়ে চলচ্চিত্র ‘জুরাসিক পার্ক’। মাইকেল ক্রিকটনের উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত এই চলচ্চিত্র ১৯৯৩ সালে মুক্তি পায়। বিপুল সাড়া জাগানো ছবিটি এ পর্যন্ত প্রায় ১০০ কোটি ডলার আয় করেছে। এ বছর ‘জুরাসিক পার্ক’ সিনেমার ২৫ বছর পূর্তি হচ্ছে। ১৯৯৭ সালে ‘দ্য লস্ট ওয়ার্ল্ড’ নামে ‘জুরাসিক পার্ক’ সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব মুক্তি পায়। ২০০১ সালে মুক্তি পায় ‘জুরাসিক পার্ক থ্রি’। এরপর বড় বিরতি দিয়ে ২০১৫ সালে মুক্তি পায় ‘জুরাসিক পার্ক’ সিরিজের নতুন সংস্করণ ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’। এখনো ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’ ব্যবসার দিক দিয়ে বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে।