‘বেঙ্গলি বিউটি’ দিয়ে বড় পর্দায় আসছেন ছোট পর্দার তারকা টয়া

0

অবশেষে ‘বেঙ্গলি বিউটি’ ছবি দিয়ে বড় পর্দায় আসছেন ছোট পর্দার তারকা টয়া। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল গত ফেব্রুয়ারি মাসে। তখন শোনা গিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র আর বাংলাদেশে ছবিটি একসঙ্গে মুক্তি পাবে। কিন্তু ছবিটি আটকে দেয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড। শেষ পর্যন্ত গত ৬ জুন আপিল বিভাগের নির্দেশে ছবিটির ছাড়পত্র দেওয়া হয়। ছবির পরিচালক রাশান নূর। ‘বেঙ্গলি বিউটি’ ছবিতে অভিনয় করেছেন পরিচালক নিজেই। আরও আছেন টয়া, সারা আলম, আশফাক রেজওয়ান, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, মাসুম বাশার, জি এম শহিদুল আলম, নাজিবা বাশার, নেইলি আজাদ প্রমুখ। ছবিটির শুটিং হয়েছে বাংলাদেশে।

‘বেঙ্গলি বিউটি’ ছবির মূল ভাবনা

ছবিতে ময়নার চরিত্রে অভিনয় করেছেন টয়া। ‘বেঙ্গলি বিউটি’ ছবির মূল ভাবনা এই- বাঙালি মেয়ে বলতে যা বোঝায়, ময়না ঠিক তেমনই। মা-বাবার প্রতিটি কথা মেনে চলা বাধ্য সন্তান। তাদের কথাতেই পারিবারিক বিয়েতে সম্মতি দেয় সে। এখানেই হাজির হয় আফজাল খান। ফিজিকসের ছাত্র আফজাল খান যুক্তরাষ্ট্র ফেরত। বাংলাদেশে ফিরে সে পেশা হিসেবে বেছে নেয় রেডিও জকির কাজ। ওলটপালট শুরু হয় এই চাকরির সুবাদেই। আর এই ওলটপালট ময়নার জীবনে, আফজাল খানের কণ্ঠের মুগ্ধ শ্রোতা যে। মুগ্ধতা প্রেমে রূপান্তরে সময় লাগে না। আর এই প্রেম বদলে দেয় ময়নার এত দিনকার জীবন, যা মা-বাবার একান্ত বাধ্য এই মেয়েকে প্ররোচনা দেয় বিদ্রোহে।

ছবির একটি দৃশ্যে পরিচালক রাশান নুর ও টয়া

টয়ার অনুভূতি

টয়া জানান, ২০ জুলাই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে তাঁর প্রথম ছবি। বললেন, ‘ছাড়পত্র পেতে দেরি হওয়ায় খুব অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলাম। শেষ পর্যন্ত জটিলতা শেষ হয়েছে। বড় পর্দায় আসছে আমার প্রথম ছবি।’ টয়া নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে বললেন, ‘ছবির মুক্তির তারিখ রাশান নূর আমাকে ই-মেইল করে জানিয়েছেন। এরপর থেকে অন্য রকম অনুভূতি হচ্ছে। নিজের মধ্যে মানসিক চাপ অনুভব করছি। তাঁরা কীভাবে ছবির প্রচারণার কথা ভাবছেন, তা এখনো জানি না। আশা করছি, নিশ্চয়ই ভালো কিছু হবে।’

বিজ্ঞজনদের প্রশংসা

‘বেঙ্গলি বিউটি’ ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পেয়েছে ১৬ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু ছাড়পত্রের জটিলতার কারণে বাংলাদেশে মুক্তি দিতে পাঁচ মাস দেরি হলো। তবে এর আগে ছবিটির প্রাক্-প্রদর্শনী হয়েছে ঢাকায়। সেই প্রদর্শনী দেখে বিজ্ঞজনদের মন্তব্য, রাশান নূরের অসাধারণ লেখা আর পরিচালনায় ‘বাঙালি বিউটি’ বাংলা চলচ্চিত্রকে হলিউড-বলিউডের কাছাকাছি নিয়ে গেছে। প্রচলিত বাংলা চলচ্চিত্রের বাইরে এই চলচ্চিত্র ভিন্ন স্বাদ এনে দিয়েছে। এ কথা অন্য কারও বলার প্রয়োজন নেই। সিনেমাটি নিজেই এ কথা বলছে দর্শককে।
তাঁদের মতে, সত্তর দশকের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এ চলচ্চিত্রে এক বেতারকর্মীর সঙ্গে কর্তৃপক্ষের দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও এক মেডিকেল ছাত্রীর সঙ্গে তার সম্পর্কের রসায়ন রূপায়ণ করা হয়েছে। ভিয়েতনাম যুদ্ধের চেতনার প্রতিফলন হওয়া চলচ্চিত্রে ঘটেছে রোমান্টিক গল্পের সমৃদ্ধ চিত্রায়ণ। এ গল্পে টয়ার চরিত্রে ফুটে উঠেছে জাতির কৃষ্টি-কালচার আর চাওয়া-পাওয়া। ‘বেঙ্গল বিউটি’র প্রাক্‌-প্রদর্শনী দেখতে গিয়ে অনেকেই ভুগেছেন হলিউডের বিখ্যাত সিনেমা ‘গুড মর্নিং ভিয়েতনাম’-এর নস্টালজিয়ায়।

আরও পড়ুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।