ভাদু গায়েন, এই বাংলাদেশেরই কোন গ্রামের গায়েন। গান গেয়েই তার জীবন চলে। একদিন এক ধনাঢ্য ব্যক্তির বাড়ির আসরে গান গাইতে গিয়ে সেই ব্যক্তির মেয়ে সরলা গায়েনের প্রেমে পড়ে যায়। সরলাকে তার বাবা যেদিন বিয়ে দিতে চায় সেদিন বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে ভাদু গায়েনের কাছে চলে আসে সরলা। কিন্তু বিয়ের পর সরলা দেখতে পায় য়ে ভাদু সবসময় গান নিয়েই ব্যস্ত থাকে। একসময় সরলার কোল জুড়ে জন্ম নেয় একটি মেয়ে। সেই মেয়ে জন্ম নেয় সরলার বাবার বাড়িতে। একসময় সরলা মারা যায়। ভাদু তার মতোই জীবন কাটায়। সে জানেনা তার মেয়ে কেমন আছে। একসময় ভাদু গায়েনের মেয়ে মনিকা দেশের নামকরা শিল্পী হয়। তখন মনিকা তার বাবাকে খুঁজতে বের হয়। এমনই গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘সুর বিবাগী’ নামক টেলিছবি। এটি রচনা করেছেন বৃন্দাবন দাস এবং নির্মাণ করেছেন সাইদুর রহমান রাসেল। গত তিনদিনের টানা শুটিং-এ গতকাল টেলিছবিটির শুটিং শেষ হয় রাজধানীর অদূরে পূবাইলে। টেলিছবিটিতে অভিনয় প্রসঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী বলেন,‘ ঈদ মানেই যে হাসির নাটক দর্শকের জন্য নির্মাণ করতে হবে এমন নয়। দর্শকের বিনোদনের জন্য একেবারেই মানহীন নাটক নির্মাণ করা ঠিক নয়। দর্শক সবসময়ই ভালো নাটক দেখতে চান। দর্শককে ভালো গল্পের মধ্যদিয়ে সমাজের নানান দিক তুলে ধরতে হবে নির্মাতাদেরকেই। দর্শক সবসময়ই একটি পরিপূর্ণ গল্প চায়। সুর বিবাগী বৃন্দাবন দা রচিত ঠিক তেমনই একটি গল্প। মেহজাবিন খুউব ভালো অভিনয় করে। বড় ছেলে নাটকে তার অভিনয় আমাকে মুগ্ধ করেছে। আর এখনতো আরো বেশি সিরিয়াস।’ মেহজাবিন বলেন,‘ এই নাটকে আমি দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। একটি সরলা এবং অন্যটি সরলার মেয়ে মনিকা। টেলিছবিটির গল্প ভালোলেগেছে। চঞ্চল ভাই অনেক বড় মাপের একজন অভিনেতা। তারসঙ্গে কাজ করাটা আমার জন্যও অনেক ভালোলাগার। আজ তার জন্মদিন। জন্মদিনে দাদাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’ আগামী ঈদে ‘সুর বিবাগী’ টেলিছবিটি চ্যানেল আইতে প্রচার হবে। এদিকে জন্মদিন উপলক্ষ্যে আজ তিনি কোন শুটিং রাখেননি। পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটবে আজ তার। চঞ্চল ও মেহজাবিন প্রথম একসঙ্গে সিমিথ রায় অন্তরের নির্দেশনায় ‘দোসর’ নাটকে অভিনয় করেন। সর্বশেষ তারা দু’জন গত বছর ঈদে সাজ্জাদ সুমনের নির্দেশনায় ‘মুক্তা ঝরা হাসি’ নাটকে অভিনয় করেন।
ছবি: মোহসীন আহমেদ কাওছার