চট্টগ্রামের সন্তান সুদর্শন দাশ বিরতিহীন ১৪ ঘণ্টা ড্রাম বাজিয়ে রেকর্ড গড়ছেন

0

চট্টগ্রামের সন্তান পণ্ডিত সুদর্শন দাশ বিশ্ব রেকর্ড গড়ার লক্ষ্য নিয়ে বিরতিহীন ১৪ ঘণ্টা ড্রাম বাজানোর চ্যালেঞ্জ শেষ করেছেন। যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে বাজানো শুরু করে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত ড্রাম বাজান তিনি। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের দেওয়া শর্তানুযায়ী এক মুহূর্তের জন্যও বিরতি নেননি তিনি।

সাতকানিয়ার সন্তান সুদর্শন দাশ

যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা পণ্ডিত সুদর্শন দাশ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার সন্তান। দীর্ঘ সময় তবলা ও ঢোল বাজানোর দুটি বিশ্ব রেকর্ড ইতিমধ্যে আছে তাঁর ঝুলিতে। বিশ্ব রেকর্ডসের ‘হ্যাটট্রিক’ পূর্ণ করতে তিনি বিরতিহীন দীর্ঘ সময় ড্রাম বাজানোর চ্যালেঞ্জ নেন। পূর্ব লন্ডনের কমার্শিয়াল রোডের লন্ডন এন্টারপ্রাইজ একাডেমি মিলনায়তনে তিনি টানা ১৪ ঘণ্টা ড্রাম বাজিয়ে সেই চ্যালেঞ্জ পূর্ণ করেছেন।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের শর্ত

সুদর্শন দাশ বলেন, কর্তৃপক্ষ বিশ্ব রেকর্ড গড়ার জন্য তাঁকে কমপক্ষে টানা ১২ ঘণ্টা ড্রাম বাজানোর শর্ত দিয়েছিল। তিনি চেয়েছিলেন কমপক্ষে ১৫ ঘণ্টা বাজাতে, যাতে সহজে অন্য কেউ এ রেকর্ড ভাঙতে না পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৪ ঘণ্টা বাজিয়ে থামতে হয়েছে তাঁকে।

বাজানো হয়েছে যেভাবে

সুদর্শনের বাজানোর পুরোটাই দুটি ভিডিও ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে। দর্শনার্থী যাঁরা গিয়েছেন, তাঁদের গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের দেওয়া সাক্ষ্য ফরম পূরণ করতে হয়েছে। এসব যাচাই-বাছাই করে রেকর্ডসের স্বীকৃতি দেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ। শিগগিরই এই স্বীকৃতি পাবেন বলে আশা করছেন পণ্ডিত সুদর্শন।

২৫ দিনে টানা ৫৫৭ ঘণ্টা

বাদ্যের মোহে বিভোর হয়ে যাওয়ার অসীম ক্ষমতা আছে এই বাঙালি সন্তানের। তবলা বাজিয়ে তিনি যে রেকর্ড গড়েছেন, সে জন্য তাঁকে টানা ২৫ দিনে ৫৫৭ ঘণ্টা ১১ মিনিট বাজাতে হয়েছিল। এরপর ঢোলে রেকর্ড গড়তে তাঁকে বাজাতে হয়েছিল টানা ২৭ ঘণ্টা।
দুটি বিশ্ব রেকর্ড গড়ার সুবাদে পণ্ডিত সুদর্শন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের সহায়তায় অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় বাজিয়েছেন বলে জানান।

বাংলাদেশের সঙ্গীত দূত

সুদর্শন দাশের বাবা অমূল্য রঞ্জন দাশ, মা বুলবুল রাণী দাশ। পণ্ডিত সুদর্শন পূর্ব লন্ডনের তবলা অ্যান্ড ঢোল একাডেমির প্রিন্সিপাল। তাঁর প্রতিষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা বাদ্যযন্ত্রে তাল তোলার কসরত শিখছে। পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস, নিউহ্যাম ও রেডব্রিজ কাউন্সিলের অধীনে তিনি স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলোর ‘মিউজিক ইন্সপেক্টর’ হিসেবে কাজ করেন।

আরও পড়ুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।